একটি আইডি কার্ড দিয়ে কয়টি নগদ একাউন্ট খোলা যায়

একটি আইডি কার্ড দিয়ে কয়টি নগদ একাউন্ট খোলা যায় বলে ভাবছেন তাদেরকে জানাতে চাই যে আপনার আইডি কার্ড দিয়ে ইতোমধ্যে নগদ একাউন্ট খোলা হলে পরবর্তীতে আর খোলা যাবে কিনা তা আজকের এই পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন। আপনারা যাতে প্রত্যেকটি বিষয়ে সঠিক তথ্য পেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পাদন করে থাকেন তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যবহুল পোস্ট আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত করে থাকি। আর সেই ধারাবাহিকতা অর্জন করে আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে একটি ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে কতটি নগদ একাউন্ট খোলা যাবে এবং নগদ একাউন্ট এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দেব।

টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে পরিচিত ব্যক্তিদের যদি নগদ একাউন্ট থেকে থাকে এবং তারা যদি আপনাকে নগদ একাউন্ট খোলার কথা বলে থাকে তাহলে নগদ একাউন্ট খুলে ফেলুন। যদি পরিবারের আর কোন সদস্যের নগদ অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে আপনারা খুব সহজেই ঘরে বসে অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে একাউন্ট খুলে নিবেন।

একটি আইডি কার্ড দিয়ে কয়টি নগদ একাউন্ট খোলা যায়
একটি আইডি কার্ড দিয়ে কয়টি নগদ একাউন্ট খোলা যায়

বাংলাদেশ ডাক বিভাগের একটি মোবাইল ব্যাংকিং এর নাম হলো নগদ। দেশের ভেতরে সবচাইতে কম খরচে ক্যাশ আউটের এই সুযোগ-সুবিধা নগদ প্রদান করে থাকে বলে বর্তমানে এর জনপ্রিয়তা খুবই বৃদ্ধি পেয়েছে। নগদ একাউন্টের জনপ্রিয়তা এত পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে যে দেশের প্রত্যেকটা রিচার্জের দোকানে এখন এই অ্যাকাউন্ট দিয়ে টাকা উত্তোলন অথবা টাকা পাঠানো সম্ভব হচ্ছে। তাই আপনি যদি নগদ একাউন্ট ব্যবহার করে থাকেন এবং তারপরেও যদি আপনার একটি নগদ একাউন্টের প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে আইডি কার্ড দিয়ে নগদ একাউন্ট খুলে যাওয়া হবে কিনা তা আজকের এই পোস্টে আপনাদেরকে জানিয়ে দেব।

একটি আইডি কার্ড দিয়ে কয়টি নগদ একাউন্ট খোলা যায়

নগদ একাউন্টের প্রয়োজনীয়তা আপনারা যদি বুঝে থাকেন এবং আপনার পরিচিত ব্যক্তি যদি নগদ একাউন্টে টাকা পাঠানোর জন্য একটি নগদ নাম্বার চেয়ে থাকে তাহলে আপনারা হয়তো আইডি কার্ড দিয়ে নগদ একাউন্ট খুলতে চাইবেন। আপনারা যখন নগদ একাউন্ট খুলতে চাইবেন তখন আপনার আইডি কার্ড যদি আগে ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাহলে সেটা দিয়ে নতুন করে একাউন্ট খোলা যাবে কিনা তা জেনে নিন। সাধারণত পরিবারের অন্য কোন সদস্য আপনার যদি নগদ একাউন্ট খোলার জন্য অথবা তাদের ব্যক্তিগত নগদ একাউন্ট খোলার জন্য আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার ব্যবহার করে থাকে তাহলে আপনি হয়তো সেটি দিয়ে নগদ একাউন্ট নতুন ভাবে খুলতে পারবেন না।

কারণ প্রত্যেকটি অ্যাকাউন্ট এর পেছনে একজন করে ভোটার আইডি কার্ডের মালিক একাউন্ট খুলতে পারবেন। তাই অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি আইডি কার্ডের যে সীমাবদ্ধতা রয়েছে সেটা অনুযায়ী একটি অ্যাকাউন্ট খুলে ফেললে পরবর্তীতে আর অ্যাকাউন্ট খুলে যাবে না। অর্থাৎ যেকোনো ধরনের ব্যাংকিং সিস্টেম অথবা যেকোনো ধরনের নামের ক্ষেত্রে তার বিপরীতে একটি করে একাউন্ট খোলা যাবে এবং এই সিস্টেম পূর্ব থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত পরিচালিত হয়ে আসছে। তবে আপনি যদি মনে করেন অন্য কোন ব্যক্তির নগদ একাউন্ট আপনার ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার ফলে আপনি সেটা পরিবর্তন করতে চান তাহলে তা পরিবর্তন করার সুযোগ পাবেন।

নগদ একাউন্ট খোলার নিয়ম

তাই নগদ একাউন্ট দিয়ে আপনারা যারা লেনদেন করতে চাইছেন তারা যদি নতুন কোন অ্যাকাউন্ট খুলতে চান তাহলে সম্পূর্ণ নতুন ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ নগদ একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে যে কোন ভোটার আইডি কার্ড ব্যবহার করা না হলে সেটা ব্যবহার করে আপনারা একাউন্ট খুলতে পারবেন এবং সেটি ব্যবহার করতে পারবেন। তাই আজকের এই পোস্ট থেকে আপনারা নগদ একাউন্ট সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারলেন।

আপনাদের যদি এ বিষয়ে আরো কোন তথ্য জানার প্রয়োজন থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন এবং আমরা আপনাদেরকে সে বিষয়ে সহায়তা প্রদান করব। ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত অথবা নগদ একাউন্ট সম্পর্কিত যেকোনো ধরনের প্রশ্ন আপনারা যদি আমাদের ওয়েবসাইটে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দেন তাহলে আমরা আমাদের অভিজ্ঞতার আলোকে আপনাদের সমাধান প্রদান করার চেষ্টা করব।

আইডি কার্ড দিয়ে নগদ একাউন্ট বাতিল করার নিয়ম

আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার নিয়ম সম্পর্কে অবগত হতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে বাতিল করবেন তা জেনে নিন। বিভিন্ন সময়ে অবস্থানগত কারণে দেখা যায় যে আমরা ভোটের আইডি কার্ড দুই জায়গায় থেকে তৈরি করে নিই। কিন্তু সর্বশেষ তথ্য হালনাগাদ অনুযায়ী আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র একটি থাকতে হবে এবং একাধিক থাকলে এটা আইনত দণ্ডনীয় এবং এক্ষেত্রে আপনার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। তাই আপনার বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানার উপরে ভিত্তি করে যদি ভোটার আইডি কার্ড দুইটি তৈরি করে নেন তাহলে আজকেই তা সংশোধন করে নিন এবং নির্দিষ্ট একটি ভোটার আইডি কার্ড ব্যবহার করুন। এতে আপনি ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করার ব্যাপারে সচেতনতা অবলম্বন করে কাজ করতে পারবেন এবং কোন ধরনের ঝামেলার সৃষ্টি হবে না।

যাইহোক আপনারা ভোটার আইডি কার্ড যদি একাধিক তৈরি করেন অথবা ভোটার আইডি কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করেন তাহলে আপনাদেরকে বলবো যে এটি সংশোধন করে নিন। একাধিক ভোটার আইডি কার্ড তৈরি নেই এবং বাংলাদেশ সরকার প্রত্যেকটি ব্যক্তির জন্য একটি করে ভোটার আইডি কার্ড নির্ধারণ করেছেন। বিশেষ করে আপনি যে স্থায়ী ঠিকানায় বসবাস করেন সেই স্থায়ী ঠিকানার ক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করতে হবে। আর যদি ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করার ব্যাপারে আপনি সচেতনতা অবলম্বন না করে না অথবা চালাকি করে দুইটি ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করে নেন তাহলে ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করতে হবে।

একটি আইডি কার্ড দিয়ে কয়টি নগদ একাউন্ট খোলা যায়
একটি আইডি কার্ড দিয়ে কয়টি নগদ একাউন্ট খোলা যায়

নগদ একাউন্ট এর মাধ্যমে টাকা আদান প্রদানের মাধ্যম

আমরা যারা এই ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার নিয়ম জানি না অথবা ভোটার আইডি কার্ডের জন্য অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নতুন নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে এমন আবেদন যদি পরিবর্তন করতে চাই তাহলে সরাসরি কাউকে কিছু জিজ্ঞেস না করে আপনারা যদি উপজেলা সার্ভার স্টেশন এ গিয়ে এ বিষয়ে যোগাযোগ করেন তাহলে তারাই আপনাকে সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে উত্তরণের সঠিক বিষয়গুলো জানিয়ে দেবে। তাহলে আজকে আর দেরি না করে আপনার এই ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত যে ধরনের ঝামেলা রয়েছে সেগুলো নিয়ে আপনারা যথাস্থানে যোগাযোগ করুন এবং তারা আপনাদেরকে ঠিক যে সকল পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত করবে সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে কাজ করলে ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করতে পারবেন এবং কোন ধরনের আইনি ঝামেলা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারবেন।

আপনাদের সুবিধার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য নতুন নিবন্ধনের আবেদন এবং ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন সহ বিস্তারিত তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট করা হয়েছে। আপনারা যদি আমাদের ওয়েবসাইটে সূচিপত্র দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন এখানে ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত যে ধরনের সমস্যা অথবা যে ধরনের তথ্যের প্রয়োজন হয় সেই ধরনের তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট দিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে আপনারা এখান থেকে সঠিক তথ্য দেখে নেওয়ার মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ডের যত কাজ সম্পন্ন করতে পারেন।

Leave a Comment